ক্রীড়া প্রতিবেদক || রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ দুইশর কাছেও যেতে পারেনি। ৪১.১ ওভারে ১৬৮ রানে অলআউট হয় লিটন দাসের দল। সর্বোচ্চ রান আসে দলে ফেরা দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ-তামিমের ব্যাট থেকে। মাহমুদউল্লাহ ৪৯ ও তামিম ৪৪ রান করেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান আসে নাসুমের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া আর কেউ বিশের ঘর পার হতে পারেননি। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন সোধী। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন জেমিসন। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো কিউইরা।
সোধীর ষষ্ঠ শিকার হাসান, ফিরলেন নাসুমও
এবার সোধীর গুগলিতে বোল্ড হাসান মাহমুদ। এটি সোধীর ষষ্ঠ শিকার। ৯ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। তার আউটের পর ক্রিজে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। অন্য প্রান্তে ব্যাট হাতে দারুণ খেলছেন নাসুম। কিউই পেসার বোল্টকে হাঁকিয়েছেন চার-ছয়। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। জেমিসনকে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বোল্টের হাতে। ১টি চার ও ২টি ছয়ে ৩০ বলে ২১ রান করেন নাসুম।
ফেরার ম্যাচে ৪৯ রানে থামলেন মাহমুদউল্লাহ
লেগ সাইডে করা ম্যাককনকির শর্ট বলে পুল করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ভাগ্য সহায় ছিল না, ধরা পড়ে যান শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডার ফিন অ্যালেনের হাতে। ৪ চার ও ১টি ছয়ে ৭৬ বলে ৪৯ রান করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তার আউটে বাংলাদেশ হারায় সপ্তম উইকেট। শেষ ভরসা হিসেবে তিনি ক্রিজে ছিলেন। ক্রিজে নাসুমের সঙ্গী হাসান।
সোধীর ফাইফারে এলোমেলো বাংলাদেশ, লড়ছেন মাহমুদউল্লাহ
স্ট্যাম্প সোজা সোধীর লেন্থ বল। বুঝতেই পারেননি শেখ মাহেদী। সরাসরি বোল্ড। ২৯ বলে ১৭ রাআন আসে তাআর ব্যাট থেকে। তার আউটে ভাঙে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে গড়া ৬৩ বলে ৪২ রানের জুটি। মাহেদীকে ফিরিয়ে সোধী নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। এর আগে ৫৮ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার।
৫৮ বলে ৪৪ রান করে আউট তামিম
সোধীর লেন্থ বল টার্ন করে যাচ্ছিলো লেগ সাইড দিয়ে। তামিম সুইপ করতে গিয়ে কাটা পড়লেন। বল গ্লাভসে লেগে যায় উইকেটের পেছনে। আগে থেকেই পজিশন নেওয়া ব্লান্ডেল ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি। ফেরার ম্যাচে তামি ৭টি চারের মারে ৫৮ বলে ৪৪ রান করেন। বাংলাদেশ ৯২ রানে হারালো ৫ উইকেট। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী শেখ মাহেদী হাসান। তামিমের আউটের পরের ওভারে টানা দুই চারে ২০ ওভারে বাংলাদেশের শত রান পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ।
পারলেন না হৃদয়
সোধীর গুগলিতে এবার পরাস্ত তাওহীদ হৃদয়। আউট সাইড অফের বল ব্যাটে লেগে ভেঙে দেয় উইকেট। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে হৃদয় ফেরেন সাজঘরে। ৭০ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। এর আহে একই ওভারে সোধী ফেরান তানজীদ হাসান-সৌম্য সরকারকে। ১৯ বলে ব্যবধানে এই স্পিনার নেন ৩ উইকেট।
ঝলক দেখিয়ে আউট তানজীদ, সৌম্য ফিরলেন শূন্য রানে
ঝলক দেখিয়ে ১২ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেন তানজীদ হাসান তামিম। একই ওভারে দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। সোধীর ঘূর্ণিতে পরাস্ত দুর্দান্ত খেলতে থাকা তানজীদ। মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন ফার্গুসনের হাতে। ৩ চারে ১২ বলে ১৬ রান করেন এই তরুণ ব্যাটার। ১ বল পরেই আউট হন সৌম্য সরকার। সোধীর স্ট্যাম্প বরাবর করা বল বুঝতেই পারেননি সৌম্য, ক্যাচ তুলে দেন তার হাতে। ২ বল খেলে করেন শূন্য রান। সবশেষ ২০২১ সালের মার্চে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন সৌম্য, এবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
তামিম-তানজীদে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
ক্রিজে এসেই মিড অফে বোল্টকে দারুণ এক চারে ইনিংসের সূচনা করেন তানজীদ হাসান তামিম। পরের ওভারে জেমিসনকে তিন চার হাঁকান তামিম ইকবাল। দুজনের ব্যাটিংয়ে লিটনের আউটের ধাক্কা সামলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ দলীয় ৫০ রান করে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে এই রান করে।
১৬ বলে ৬ রান করে আউট লিটন
বোল্টের অফ সাইডের শর্ট বলে কাট করেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু লাভ হয়নি। ধরা পড়ে যান ডিপ থার্ডে দাঁড়ানো ফিল্ডার রাচিন রবীন্দ্রর হাতে। ১৬ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এর আগে শূন্য রানে জীবন পেয়েছিলেন রিভিউ নিয়ে। ক্রিজে তামিমের সঙ্গী তানজীদ।
রিভিউতে লিটনের রক্ষা
বোল্টের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে লিটনকে স্ট্রাইক দেন। নিজের প্রথম বলেই ব্যাটে লাগাতে পারেননি লিটন। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। একটু ভেবেই রিভিউ নেন লিটন। তাতেই রক্ষা পান। রিভিউতে দেখা যায় বল উইকেট মিস করে। গোল্ডেন ডাক থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
২৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়লো নিউ জিল্যান্ড
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেনে ২৫৪ রানে অলআউট হয় নিউ জিল্যান্ড। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত মিডল অর্ডার ও টেল এন্ডারদের দারুণ ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারে। সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে টম ব্লান্ডেলের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া নিকোলস ৪৯ ও সোধী ৩৫ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন খালেদ-মাহেদী। ২ উইকেত নেন মোস্তাফিজ। ১টি করে উইকেট নেন হাসান-নাসুম।
খালেদের তৃতীয় শিকার সোধী
খালেদের করা বলে বেরিয়ে যাচ্ছিলো অফ দিয়ে, কিন্তু খোঁচা দিয়ে বসেন সোধী। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নেন লিটন, তাতে দেখা যায় নিশ্চিত আউট। মানকাড আউট থেকে বেঁচে যাওয়া সোধী ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন। অভিষেক ম্যাচে খালেদ ৬০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
এবার মাহেদীর শিকার কিউই অধিনায়ক
আগেই ক্রিজ থেকে বেরিয়ে ভুল করলেন কিউই অধিনায়ক ফার্গুসন। মাহেদী বল দেন অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে। লিটন স্ট্যাম্পিং করতে ভুল করেননি। ১ চারে ১৩ বলে ১৩ রান করেন ফার্গুসন। এটি মাহেদীর তৃতীয় শিকার। ১০ ওভারে ৪৫ রান দেন মাহেদি।
মানকাড আউট করেও ডেকে নিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করলো বাংলাদেশ
নন-স্ট্রাইক প্রান্তে এসেই হাসানকে জড়িয়ে ধরেন সোধী। মিনিট খানেক আগে তাকে মানকাড আউট করেছিলেন এই হাসানই। বল ছোঁড়ার আগে ক্রিজে ছাড়ায় হাসান উইকেট ভেঙে দেন। আম্পায়ারের কাছে আবেদন করেন আউটের। টিভে রিপ্লেতে দেখা যায় আউট। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। হতভম্ব জেমিসন ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটছিলেন। অন্যদিক থেকে আসছিলেন নতুন ব্যাটার। তখনি অধিনায়ক লিটন ও হাসান এটিকে নট আউট মেনে নিয়ে সোধীকে ফিরে আসার সংকেত দেন। আত্মহারা সোধী এসে জড়িয়ে ধরেন হাসানকে। ১৭ রানে বেঁচে যান সোধী।
মাহেদীর দ্বিতীয় শিকার জেমিসন
শেখ মাহেদীর আউট সাইড অফের বলে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন জেমিসন। ব্যাটে-বলে ঠিক মতো সংযোগ হয়নি। বল উঠে যায় আকাশে। বোলিং প্রান্তে নিজেই ক্যাচ ধরেন মাহেদী। এটি তার দ্বিতীয় শিকার। ক্রিজে ইশ সোধীর সঙ্গী অধিনায়ক লকি ফার্গুসন।
নিউ জিল্যান্ডের দুইশ পার, ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়লেন মোস্তাফিজ
নাসুমকে লং অনে সোধীর দারুণ ছয়ের পর মোস্তাফিজকে চার মেরে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২০০ পার করেন জেমিসন। ৪১.২ ওভারে দুইশ রানের দেখা পায় কিউইরা। নাসুমের করা পরের ওভারে শর্ট ফাইন লেগে চার বাঁচাতে গিয়ে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন মোস্তাফিজ। ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন জেমিসন, কিন্তু এজ হয়। মোস্তাফিজ ডাইব দিয়েছিলেন, তবে কাজ হয়নি। এরপর ফিজিও এসে তাকে নিয়ে যান ড্রেসিংরুমে। বদলি ফিল্ডার হিসেবে ক্রিজে আসেন এনামুল হক বিজয়।
উইকেটের দেখা পেলেন নাসুম
নাসুমের লেন্থ বল পিচ করে মিডল স্ট্যাম্পে। ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ম্যাককনকি। কিন্তু মিস করে ফেলেন তিনি, লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। কিন্তু রিভিউ নেন ম্যাককনকি। তবে লাভ হয়নি। ২ চারে ৩৩ বলে ২০ রান করেন ম্যাককনকি। ক্রিজে সোধীর সঙ্গী জেমিসন।
হাসানের ইয়র্কারে বোল্ড ব্লান্ডেল
ফিফটি করে এক প্রান্ত থেকে একাই রানের চাকা সচল রাখছিলেন ব্লান্ডেল। তাকে থামানো যাচ্ছিল না। অবশেষে হাসান মাহমুদের ইয়র্কারে পরাস্ত হলেন তিনি। সরাসরি বোল্ড। ৬টি চার ও ১টি ছয়ে ৬৬ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। ক্রিজে ম্যাককনকির সঙ্গী ইশ সোধী।
মাহেদীর ঘূর্ণিতে পরাস্ত রাচিন রবীন্দ্র
রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে ড্রিফট করেছিলেন শেখ মাহেদী হাসান। রাচিন রবীন্দ্র খেলতে পারেননি, বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিছুক্ষণ আলোচনা করেও রিভিউ নেননি তিনি। ১৪ বলে ১০ রান করেন তিনি। ক্রিজে ব্লান্ডেলের সঙ্গী ম্যাককনকি।
ব্লান্ডেলের ফিফটির পর স্বস্তি এনে দিলেন খালেদ
খালেদের করা ব্যাক অফ লেন্থের আউটসাইড অফের বল। ব্যাট চালিয়ে ভুল করে বসেন নিকোলস। কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটির দেখা পাননি এই ব্যাটার। ৬টি চারে ৬১ বলে ৪৯ রান করেন তিনি। তার আউটে ভাঙে ১১১ বলে ৯৫ রানের জুটি।
ব্লান্ডেলের ফিফটি
নাসুমকে লং অনে ফ্লিক করে দউড় দিলেন ব্লান্ডেল। সিঙ্গেল নিতেই দেখা পান ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির। ৫৪ বলে ৪টি চারের মারে ফিফটি করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ব্লান্ডেল।
ফিফিটির জুটিতে নিউ জিল্যান্ডের সেঞ্চুরি
৩৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ব্লান্ডেল-নিকোলসের ফিফটির জুটিতে ইতিমধ্যে দলীয় শতক পূর্ণ করেছে কিউইরা। ৬০ বলে ফিফটির জুটি পূর্ন হয়। এরপরেই ২০.১ ওভারে দলীয় শতরানের দেখা পায় কিউইরা।
পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ
টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দারুণ। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৪১ রান দিয়ে কিউইদের ৩ উইকেট। মোস্তাফিজ নেন ২ উইকেট আর ১ উইকেট নেন খালেদ।
খালেদের অভিষেক শিকার বোয়েস
খালেদের ব্যাক অব লেন্থের ডেলিভারি যাচ্ছিল বোয়েসের শরীরের দিকে। খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিক মতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি। বল ব্যাটে লেগে চলে যায় স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো তাওহীদ হৃদয়ের হাতে। খালেদ পেলেন অভিষেক উইকেটের দেখা। ৩ চারে ১৯ বলে ১৪ রান করেন বোয়েস। ৩৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো নিউ জিল্যান্ড। ক্রিজে নিকোলসের সঙ্গে ব্লান্ডেল।
আবার মোস্তাফিজের আঘাত, ফিরে গেলেন অ্যালেন
শুরু থেকেই বেশ মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন ফিন অ্যালেন।মোস্তাফিজের বলে চেয়েছিলেন শট খেলতে। তবে ব্যর্থ হয়েছে সেটি। কানায় লেগে ওঠা ক্যাচটি বাঁ দিক ঝাঁপিয়ে তালুবন্দি করে নিয়েছেন সৌম্য।১৫ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন অ্যালেন। তাতে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে নিউজিল্যান্ড।
ইয়ংকে শূন্যতে ফেরালেন মোস্তাফিজ
ইনিংসের প্রথম বলে মোস্তাফিজকে চার দিয়ে শুরু করেছিলেন ফিন অ্যালেন। ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেননি ফিজ। নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফেরালেন উইল ইয়ংকে। শর্ট বলে খোঁচা দিয়ে বসেন ইয়ং, ৮ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। ক্রিজে অ্যালেনের সঙ্গী বোয়েস।
ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, খালেদের অভিষেক
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন কিউই অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় খেলাটি শুরু হবে।
একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান ও পেসার তানজীম হাসান সাকিবের পরিবর্তে একাদশে তানজীদ হাসান তামিম ও খালেদ আহমেদ। এই ম্যাচ দিয়ে লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হচ্ছে পেসার খালেদ আহমেদের।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্যর সরকার, তাউহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মাহাদী, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
খালেদের অপেক্ষা ফুরালো
টেস্ট অভিষেকের ৫ বছর পর ওয়ানডেতে অভিষেক হচ্ছে খালেদ আহমেদের। ১৪৬ তম ক্রিকেটার হিসেবে লাল সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন খালেদ। এশিয়া কাপে তানজীম হাসান সাকিবের পর এই সিরিজে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে খালেদের অভিষেক হচ্ছে। এর আগে ১২ টেস্ট খেলে ২১ উইকেট নেন সিলেটের এই পেসার। এ ছাড়া ৪৭টি লিস্ট এ ম্যাচে ৬৪ উইকেট নিয়েছেন খালেদ।
নিউ জিল্যান্ডের একাদশ অপরিবর্তিত
ফিন অ্যালেন, উইল ইয়ং, চ্যাড বোয়েস, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল, রাচিন রবীন্দ্র, কোল ম্যাকনকি, ইশ সোধি, কাইল জেমিসন, লকি ফার্গুসন (অধিনায়ক) ও ট্রেন্ট বোল্ট।
বৃষ্টির হুমকি
বৃষ্টির কারণে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হয় প্রথম ওয়ানডে। বল হাতে বাংলাদেশের বোলাররা নিজেদের যাচাইয়ের সুযোগ পেলেও ব্যাট হাতে ব্যাটারদের দেখার সুযোগ হয়নি। সেই বৃষ্টির হুমকির মুখে এবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামছে বাংলাদেশ।
চোটে তানজীম, দলে হাসান
তানজীম হাসান সাকিবের চোট থাকায় দলে ডাক পেয়েছেন বিশ্রামে থাকা হাসান মাহমুদ। এশিয়া কাপের পর হাসান বিশ্রামে ছিলেন। এছাড়া, আগের একাদশই নামাতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
নজর থাকবে ব্যাটিংয়ে
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতে বোলিং নেয়। মোস্তাফিজুর রহমান পুরনো রূপে ফিরে দিয়েছেন স্বস্তি। লম্বা সময় ধরে বোলাররা পারফর্ম করে যাওয়ায় বোলিং বিভাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা সেই ব্যাটিংটাই পরখ করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই ব্যাটিংয়ের দিকে নজর থাকবে বেশি। বৃষ্টির বাধায় কতটুকু করতে পারে এখন সেটি দেখার।