সফিউর রহমান সফিক/ হাফিজুর রহমান
স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেন যাবে যশোরে। নির্ধারিত
সময়ের ছয় মাস আগেই পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের
নির্মাণ কাজ শেষ হল। আগামী নভেম্বর থেকে এই অংশেও ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। ট্রেন চলাচলের
জন্য প্রকল্পটির কর্তৃপক্ষ সবকিছু ঠিকঠাক করে রেখেছেন উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করলেই
চালানো যাবে এই রুটে ট্রেন। গত বৎসর ১০ নভেম্বর২০২৩ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন
চলাচল শুরু হয়। তবে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইনের কাজ অসমাপ্ত থাকায় ভাঙ্গা পর্যন্ত
ট্রেন চলাচল করে। এই মেগা প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ সমাপ্ত হওয়ায় প্রকল্পের
প্রায় ১ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো.
আফজাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আফজাল হোসেন আরো
জানান দ্রুতগতিতে দিনরাত ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের রেলপথের কাজ দ্রুতগতিতে করে
প্রকল্পের সমস্ত কাজ আমরা শেষ করেছি। পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের রেল চলাচলের কোন
কাজ আর বাকি নেই। এখন শুধু ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল চলাচল উদ্বোধনের পালা।
মন্ত্রণালয় এবং সরকারের উচ্চ মহল দিনক্ষণ ঠিক করলেই আমরা আশা রাখি নভেম্বরের
মাঝামাঝিতে ভাঙ্গা থেকে যশোর ট্রেন চলাচল উদ্বোধন এর মধ্য দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে যশোর
ট্রেন চলাচলের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। । এরইমধ্যে টেস্ট অ্যান্ড কমিশনিং করে রেললাইন
প্রস্তুত করা হয়েছে। এই অংশের অগ্রগতি শতভাগ আর ভাঙা জংশনের তাজ সমাপ্তি এখন শুধু
উদ্বোধনের পালা শেষ ।
আধুনিক এই জংশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যশোরের লাইন৷
আফজাল হোসেন বলেন, ভাঙ্গা থেকে যশোর নতুন রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চালু হবে নভেম্বরেই। ৩৯
হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রকল্পের প্রায় ১৮৪৫ কোটি টাকা সাশ্রয়ের আশা করা হচ্ছে।
এদিকে নতুন পথে রেল লাইন চালুর খবরে খুশি মানুষ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তদারকিতে চীনা
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরইসি সিঙ্গেল লাইনের ১৬৬ কিলোমিটারের রেলপথ নির্মাণ করছে৷
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প আদ্যোপান্ত
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ের তত্ত্বাবধায়নে "পদ্মা সেতু রেল সংযোগ" শীর্ষক
প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মূল্য মোট ৩৯, ২৪৬.৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে
জিওবি অর্থায়ন ১৮,২১০,১১ কোটি টাকা এবং এক্সিম ব্যাংক অব চায়না এর প্রকল্প সাহায্য
২১, ০৩৬.৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটির
বাস্তবায়নকাল ০১.জানুয়ারি.২০১৬ হতে ৩০.জুন.২০২৪ পর্যন্ত নির্ধারিত আছে। বিশেষভাবে
উল্ল্যেখ যে, প্রকল্পটি ২৭.০৪.২০১৬ তারিখে ৪র্থ মনিটরিং সভায় ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য "কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) Cell of Corps of
Engineers, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিআরটিসি, বুয়েট" পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োজিত
আছে। প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি) এর
সাথে ৩১৩৮.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সমতুল্য ২৪, ৭৪৯.০৫ কোটি টাকা) ব্যয়ে নির্মাণ কাজের
চুক্তিপত্র বিগত ০৮.০৮.২০১৬ তারিখে স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এক্সিম ব্যাংক
অব চায়না এর সাথে ২৬৬৭.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সমতুল্য ২১,০৩৬,৭০ কোটি টাকা) এর
ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২৭.০৪.২০১৮ তারিখে। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে ০৩.০৭.২০১৮ তারিখে।
ঢাকা ভাঙ্গা অংশে ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। ১
নভেম্বর, ২০২৩ হতে বানিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। ভাঙ্গা হতে যশোরের সাথে
রেলওয়ে সংযোগ স্থাপনের নির্মাণ কাজ অক্টোবর, ২০২৪ সালে সম্পন্নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত
আছে।
বহুল আকাঙ্খিত পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা হতে যশোর পর্যন্ত ১৭২কিঃমিঃ ব্রডগেজ রেললাইন
নির্মাণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তঃদেশীয় রেল যোগাযোগ উন্নয়ন করা এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
এ প্রকল্পের আওতায় মেইন লাইন ও লুপ লাইন সহ মোট ২২৬.২২ কিঃমিঃ রেললাইন নির্মাণ করা
হবে এর মধ্যে ২৩.৩৭৭ কিঃমিঃ ভায়াডাক্ট (উড়াল রেলপথ), ৬০টি মেজর ব্রীজ, ২৭২টি মাইনর ব্রীজ
নির্মাণের সংস্থান রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি নতুন স্টেশন নির্মাণ এবং ৬টি বিদ্যমান
স্টেশন রিমডেলিং করা হবে ও ২০টি স্টেশনেই টেলিযোগাযোগসহ আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা
স্থাপন করা হবে। এছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহের
সংস্থান রয়েছে।
সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা মাওয়া অংশে কাজের অগ্রগতি ৯৮%, মাওয়া-ভাঙ্গা
অংশে ৯৯.৬০ %, ভাঙ্গা- যশোর অংশে ৯৮% এবং প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৯৬% ও
আর্থিক অগ্রগতি ৮৬,৪৪%1
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের
সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং নতুন করে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর রেল
নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হয়েছে ও নড়াইল জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হবে। এর
পাশাপাশি বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ঢাকা- যশোর-বেনাপোল-কোলকাতা পর্যন্ত ট্র্যান্স এশিয়ান
নেটওয়ার্কের আরেকটি উপ রুট স্থাপিত হবে। ফলে এ রুটে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক
ফ্রেইট ও ব্রডগেজ কন্টেনার ট্রেনসুমূহ চলাচল করতে পারবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে
১%GDP বৃদ্ধি পাবে। এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।
বর্তমানে খুলনা (ফুলতলা) হতে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত ৬৪ কি.মি রেললাইন নির্মাণ শেষ হয়েছে। ফলে
মোংলা পোর্টে বিদেশ হতে আগত কন্টেইনারসহ অন্যান্য মালামাল রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে
পরিবহন করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে ভাঙ্গা হতে বরিশাল হয়ে পায়রা পোর্ট এবং পায়রা পোর্ট হতে
কুয়াকাটা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পায়রা
পোর্ট হতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে
কন্টেইনার ও মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে। তাছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি কুয়াকাটা পর্যন্ত রেল
সর্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। এতে কুয়াকাটায় পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
বর্তমানে ঢাকা হতে টাঙ্গাইল-ঈশ্বরদী-পোড়াদহ-দর্শনা হয়ে যশোর, বেনাপোল এবং খুলনার সাথে
ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ রুটে ঢাকা-খুলনার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪১২ কি:মি এবং ভ্রমন সময়
প্রায় ১০ ঘন্টা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে যশোরের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১৯০ কি:মি:
এবং ঢাকা- খুলনার মধ্যে দূরত্ব ২১২ কি:মি: হ্রাস পাবে এবং ভ্রমন সময় প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা
হ্রাস পাবে।
এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত রেললাইন ৯টি জেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে এবং রেলওয়ে
নেটওয়ার্কের সাথে নতুন করে ৪ টি জেলা মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর সংযুক্ত হয়েছে ও দ্রুত
নড়াইল জেলা সংযুক্ত হবে।
রেলওয়ে নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সাথে ৯টি
জেলা সরাসরি রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হবে এবং পরোক্ষভাবে দেশের দক্ষিণ-
পশ্চিমাঞ্চল ট্রেন সুবিধা পাবে। তাছাড়া রেলওয়ে একটি পরিবেশ বান্ধব পরিবহনও বটে। সড়ক
যানবাহনের তুলনায় রেলপথে ২৫% জ্বালানী সাশ্রয় হয় এবং CO₂ নিঃসরণ কম হয়। এতে সরকারি
জ্বালানী সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে।
সর্বোপরি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগন একটি নিরাপদ,
আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী রেল ভ্রমনের সুবিধা পাবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোরের রূপদিয়া ও খুলনা অভিমুখে সিঙ্গিয়া পর্যন্ত রেল সার্ভিস চালু
করার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ের তত্ত্বাবধায়নে "পদ্মা সেতু রেল
সংযোগ" শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মূল্য মোট ৩৯, ২৪৬৮০ কোটি
টাকা। এর মধ্যে জিওবি অর্থায়ন ১৮, ২১০.১১ কোটি টাকা এবং এক্সিম ব্যাংক অব চায়না এর
প্রকল্প সাহায্য ২১, ০৩৬.৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটির
বাস্তবায়নকাল ০১.০১.২০১৬ হতে ৩০.০৬.২০২৫ পর্যন্ত নির্ধারিত আছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য "কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) Cell of Corps of
Engineers, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিআরটিসি, বুয়েট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োজিত
আছে। প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি) এর
সাথে ৩১৩৮.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সমতুল্য ২৪, ৭৪৯.০৫ কোটি টাকা) ব্যয়ে নির্মাণ কাজের
চুক্তিপত্র বিগত ০৬.০৮ ২০১৬ তারিখে স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এক্সিম ব্যাংক
অব চায়না এর সাথে ২৬৬৭.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সমতুল্য ২১,০৩৬,৭০ কোটি টাকা) এর
ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২৭.০৪.২০১৮ তারিখে। প্রায় ২ বছর পরে ঋণের চুক্তি স্বাক্ষরের পর
বাস্তবিকভাবে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে ০৩.০৭.২০১৮ তারিখে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ
পর্যায়ে। প্রকল্পের ব্যয় সার্বিকভাবে হ্রাস পাবে প্রায় ১৮৪৫ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে তা নিম্নরূপ:
> পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ৯টি জেলার সাথে সরাসরি রেল
যোগাযোগ স্থাপিত হবে তন্মধ্যে নতুন ৪টি জেলা যথা: মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল
জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হবে। অতএব, ৬টি জেলার প্রায় ১.০৫ কোটি (২০২২ সালের
জনশুমারি) জনগন রাজধানীর সাথে পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি প্রথমবারের মত ট্রেন যোগাযোগের সুফল
ভোগ করবে।
> ঢাকা হতে যশোরের বর্তমান রেলপথের দূরত্ব ৩৫৬.৪০ কি.মি :। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা হতে
যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত ১৬৫.৫৩ রেলপথ নির্মাণ করার ফলে বর্তমান দূরত্ব ১৭৪.৩০ কি:মি।
সুতরাং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা হতে যশোরের দূরত্ব হ্রাস
পেয়েছে ১৮২.১০ কি:মি। রেলপথে ঢাকা হতে টাঙ্গাইল- যমুনা বহুমুখী সেতু ঈশ্বরদী-পোড়াদহ-দর্শনা
হয়ে যশোরে ভ্রমন সময় ৮ ঘন্টা। গদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে যশোর যেতে আনুমানিক ২
ঘন্টা ৩০ মিনিট (স্টপেজ বিবেচনা করে) ভ্রমন সময় প্রয়োজন হবে। সার্বিকভাবে ভ্রমন সময় হ্রাস
পাবে আনুমানিক ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
> ঢাকা হতে খুলনার বর্তমান রেলপথের দূরত্ব ৪১২.৪০ কি:মি:। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা হতে
সিঙ্গিয়া পর্যন্ত ১৫৮.১০ রেলপথ নির্মাণ করার ফলে ঢাকা হতে খুলনার বর্তমান
দূরত্ব ১৯৮.৯০ কি.মি। সুতরাং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা হতে
খুলনার দূরত্ব হ্রাস পেয়েছে ২১৩.৫০ কি:মি। রেলপথে ঢাকা হতে টাঙ্গাইল- যমুনা বহুমুখী সেতু
ঈশ্বরদী পোড়াদহ-দর্শনা হয়ে খুলনার ভ্রমন সময় ৯ ঘন্টা। পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে
খুলনা যেতে আনুমানিক ২ ঘন্টা ৫১ মিনিট (স্টপেজ বিবেচনা করে)) ভ্রমন সময় প্রয়োজন হবে।
সার্বিকভাবে এমন সময় হ্রাস পাবে আনুমানিক ৬ ঘন্টা ১০ মিনিট।
> পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-পদ্মা সেতু- যশোর-বেনাপোল এবং ঢাকা-পদ্মা সেতু- খুলনা-মংলা পর্যন্ত
আরেকটি উপ-রুট স্থাপিত হবে। ফলে এ রুটে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফ্রেইট ও ব্রডগেজ
কন্টেনার ট্রেনসুমূহ কম সময়ে চলাচল করতে পারবে। ফলে, মালামাল পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে ও
জ্বালানী খরচও কমে যাবে।
রেলওয়ে নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন। প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকার সাথে ৯টি জেলা
সরাসরি রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে। তাছাড়া রেলওয়ে একটি পরিবেশ বান্ধব
পরিবহনও বটে। সড়ক যানবাহনের তুলনায় রেলপথে ২৫% জ্বালানী সাশ্রয় হয় এবং CO₂ নিঃসরণ কম
হয়। এতে সরকারি জ্বালানী সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে। সর্বোপরি এ প্রকল্পটির
মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৯টি জেলার জনগন একটি নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও
কম সময়ের রেল ভ্রমন সুবিধা গেতে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যয়
প্রকল্পব্যয় (সংশোধিত) ৩৮.৬২৩.৯০ (জিওবিঃ ১৭, ৬৬৮.৮০ এবং পিএঃ ২০, ৯৫৬.১০ ) কোটি টাকা।
(প্রকল্পের ব্যয় ৬২১ কোটি টাকা হ্রাস করে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।)
প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান : চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড। চুক্তিমূল্য ২৪, ৭৪৯.০৫ কোটি
টাকা)
অর্থায়ন জিটুজি (এক্সিম ব্যাংক অব চায়না) এবং জিওবি।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান : কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) সেল অব গ্রুপস অব
ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সহযোগিতায় বিআরটিসি, বুয়েট।
প্রকল্পটিতে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে তা নিম্নরূপ:
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি রেল সংযোগ পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে ঢাকার সাথে দেশের
দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ৯টি জেলার সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তন্মধ্যে নতুন ৪টি
জেলা যথা: মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হবে।
সুফল ভোগী জনসংখ্যা : ৯টি জেলার প্রায় ৪ কোটি জনগন রাজধানীর সাথে পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি
ট্রেন যোগাযোগের সুফল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগ করবে।
মালামাল পরিবহনের সুবিধা বেনাপোল ও মোংলা হতে সরাসরি মালামাল পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
দূরত্ব হ্রাসঃ
সেকশন বিদ্যমান দূরত্ব ঢাকা-খুলনা ৪১২.৪০ কি:মি: নবনির্মিত রেললাইনের বুট দূরত্ব ১৯৮
৯০ কি:মি। দূরত্ব হ্রাস cv‡e ২১৩.৫০ কি:মি।
ঢাকা যশোর-বেনাপোল বুট দূরত্ব ৩৫৬.৪০ কি:মি: নবনির্মিত রেললাইনের বুট দূরত্ব ১৭৪
৩০ কি:মি দূরত্ব হ্রাস cv‡e ১৬২.১০ কি:মি
ভ্রমণ সময় হ্রাস: সেকশন ঢাকা খুলনা eZ©gvb ভ্রমণ সময় ১০ ঘন্টা নবনির্মিত রেললাইনের
ভ্রমণ সময় (আনুমানিক) ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট। ভ্রমণ সময় হ্রাস পাবে ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট। ঢাকা-
যশোর-বেনাপোল ভ্রমণ সময় ৮ ঘন্টানবনির্মিত রেললাইনের ভ্রমণ ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট। ভ্রমণ সময়
হ্রাস পাবে ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট
নতুন উপ-রুট স্থাপিত : ১) ঢাকা পদ্মা সেতু যশোর বেনাপোল। ২) ঢাকা পদ্মা সেতু খুলনা-মোংলা
পর্যন্ত। ) ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ি কুষ্টিয়া দর্শনা। ৩ ৪) ঢাকা ভাঙ্গা-কশিয়ানি-গোবরা।
পরিবেশ প্রভাব ও জ্বালানী সাশ্রয় : সড়ক যানবাহনের তুলনায় রেলপথে ২৫% জ্বালানী সাশ্রয় হয়
এবং CO₂ নিঃসরণ কম হয়। এতে সরকারি জ্বালানী সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশ দূষণ হ্রাস গাবে।
সর্বোপরি এ প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৯টি জেলার জনগণ একটি নিরাপদ,
আরামদায়ক, সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী রেল ভ্রমণ সুবিধা পাবে
*** পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১,৮৪৫ কোটি টাকা সাশ্রয়
পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বশেষ
প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে
এখন চূড়ান্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
সম্প্রতি পদ্মা সেতু পরিদর্শন করে জাজিরা প্রান্তে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে
এ তথ্য জানান উপদেষ্টা।
ফাওজুল কবির খান বলেন, পদ্মার মূল সেতু নির্মাণে ৫৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। নদীশাসনের
কাজে সাশ্রয় হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণে ১৭৮ কোটি টাকা
বেঁচে গেছে। আরও যেসব খাতে টাকা সাশ্রয় হয়েছে, সেগুলো হলো মূল্যবৃদ্ধিজনিত বরাদ্দ (প্রাইস
কন্টিজেন্সি) ৫০০ কোটি টাকা, ভূমি অধিগ্রহণ ১০৩ কোটি টাকা, পরামর্শক বাবদ ২০০ কোটি টাকা
ও অন্যান্য ২৪৪ কোটি। উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি ভালো সরকার থাকত, তাহলে হয়তো আমরা পদ্মা সেতু
অনেক কম ব্যয়ে নির্মাণ করতে পারতাম।’
বর্তমান সরকারের ব্যয় কমানোর নীতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে ফাওজুল কবির খান বলেন,
‘প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সব ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর জন্য। আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত
মন্ত্রণালয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সব ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে আনব। কাজ একই থাকবে, কিন্তু কম
মূল্যে করব। এর ফলে একই টাকা দিয়ে আমরা বেশি পরিমাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারব। সেতু
বিভাগের সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, পদ্মা সেতুতে ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করতে। আমরা
ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় সাশ্রয় করেছি।’
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন আন্দোলন হয়েছে। বেশ কিছুদিন
অফিস–আদালত বন্ধ ছিল। কলকারখানা চলেনি। ফলে আশানুরূপ রাজস্ব আদায় হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের প্রকৃত উন্নয়ন বলে মন্তব্য করেন ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন যাতে হয়, সেদিকে জোর দেবে সরকার। মানুষ যাতে
বিদ্যুৎ পায়, সেবা পায়। সরকার বড় প্রকল্প থেকে টাকা সাশ্রয় করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন
করতে চায় বলেও জানান তিনি।
খুলনার রূপসায় ৮৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ নেই বলে জানান ফাওজুল কবির
খান। তিনি বলেন, উন্নয়ন দেখানো হয়েছে। বিভ্রান্ত করা হয়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে,
কিন্তু এ প্রবৃদ্ধি তো কাজের না। যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তাহলে তো এ প্রবৃদ্ধি একটা সংখ্যা মাত্র
রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যাচ্ছি, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কী করা যায়,
সেটা দেখব। এ প্রকল্পে বিরাট খরচ, ৮৮০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট ১২০ কোটি ডলারের
প্রকল্প। এটা তো বিপুল ব্যয়। বাংলাদেশের জনগণকে এটা পরিশোধ করতে হবে। এডিবির ঋণে করা এ
প্রকল্প।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে উপদেষ্টা খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হাবিবুর রহমান, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, জ্বালানি ও
খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নূরুল আলম প্রমুখ
চালু হচ্ছে স্পেশাল ট্রেন, ১ টাকা ১৮ পয়সায় কৃষিপণ্য যাবে ঢাকায়
রাজশাহী থেকে কৃষিপণ্য পরিবহনে ‘স্পেশাল ট্রেন’ চালু হতে যাচ্ছে। (২৬ অক্টোবর) থেকে যাত্রা শুরু করে এই
ট্রেন।
রাজশাহী বিভাগের অধীনে থাকা সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শনিবার (২৬
অক্টোবর) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কৃষিজাত পণ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে এই স্পেশাল ট্রেন। এটি
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন হয়ে ঢাকার তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। এতে প্রতি
কেজি কৃষিপণ্য পরিবহনে খরচ পড়বে মাত্র ১ টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী থেকে পড়বে ১টাকা ১৮ পয়সা।
এই উপলক্ষে (২৪ অক্টোবর) রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ে স্টোকহোল্ডারদের
সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত ওই সভায় ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ চালু সম্পর্কে এ
বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান ।
সভায় রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন
থেকে প্রতি কেজি কৃষিপণ্য ঢাকায় পরিবহন করতে খরচ পড়বে মাত্র ১ টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী থেকে
রাজধানীর তেজগাঁও এক কেজি কৃষিপণ্য পৌঁছাতে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৮ পয়সা।
সভায় জানানো হয়, এই কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে
মালামাল পরিবহন করা যাবে নামমাত্র মূল্যে।
আর পরিবহনের ক্ষেত্রে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের সুরক্ষায় এই স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ লাগেজ ভ্যানের পাশাপাশি
থাকবে রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানও। এর মাধ্যমে টাটকা শাকসবজি, মাছ ও মাংসসহ সব ধরনের পচনশীল
কৃষিপণ্য পরিবহন করা যাবে।
নতুন এই স্পেশাল ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি
ছেড়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনসহ ১৩টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। এটির শেষ গন্তব্য থাকবে ঢাকার
তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন।
কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল রেলওয়ে স্টেশন, আমনুরা জংশন, কাঁকনহাট, রাজশাহী
রেলওয়ে স্টেশন ও চারঘাটরে সরদহ রোড, বাঘার আড়ানি, নাটোরের আব্দুলপুর, আজিমনগর, পাবনা জেলার
ঈশ্বরদী বাইপাস, চাটমোহর, বড়ালব্রিজ এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনেও থামবে। এছাড়া কৃষিপণ্য স্পেশাল
ট্রেনের পাশাপাশি সব আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান তো
সংযুক্ত আছে বলেই জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
সভায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি
ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মামুনুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চল
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।