যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার।।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিরপুর মডেল থানায় ভুক্তভোগী রামিসা তাবাচ্ছুম আলিনা (২২) লিখিত অভিযোগ দেন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর মডেল থানার মধ্য পাইকপাড়া এলাকার মোঃ মামুনুর রহিম এর মেয়ে ভুক্তভোগী রামিসা তাবাচ্ছুম আলিনাকে (২২) সৈয়দপুর উপজেলার চাঁদনগর এলাকার আবু বক্কর সালেহ ছেলে
মোঃ আসিফ শাবাব (৩১) ইসলামী শরীয়াত মোতাবেক গত ০৮/০৫/২০২২ তারিখে বিবাহ করে । বিবাহের সময় পরিবারবর্গ যথা সাধ্যমত আসামীদের আসবাবপত্র, প্রাইভেটকার সহ নগদ অর্থ প্রদান করেন।উক্ত অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ভুক্তভোগীর স্বামী মোঃ আসিফ শাবাব , শ্বশুর আবু বক্কর সালেহ, শ্বাশুড়ী মোছাঃ নাজমিন আক্তার ভুক্তভোগীর নিকট
প্রায় সময় যৌতুকের টাকা দাবী করে এমন অবস্থায় ১২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সকালে ভুক্তভোগীকে
তাঁর স্বামীর পরামর্শে শ্বামি ও শ্বশুর যৌতুকের টাকার জন্য আমাকে মারপিট করে। পরে এমতাবস্থায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিকালে মিরপুর মডেল থানাধীন মধ্য পাইকপাড়া এলাকায় অভিযুক্ত মোঃ আসিফ শাবাব আসামীর ভাড়া বাসায় অভিযুক্ত সকলের পরামর্শে পুনরায় আমার নিকট যৌতুক বাবদ
দশ লক্ষ টাকা দাবী করে ভুক্তভোগীর কাছে । এবং ভুক্তভোগী তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্ত স্বামী মোঃ আসিফ শাবাব ভুক্তভোগীকে এলোপাতারী মারপিট করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা জখম করে এবং টাকা না দিলে আমাকে তালাক প্রদান করার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়াসহ প্রতিবেশী আসলে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয়। পরে সাক্ষীসহ অন্যান্য লোকজনদের সহায়তায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে ভুক্তভোগী রামিসা তাবাচ্ছুম আলিনা।
নাম-না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন,রামিসা তাবাচ্ছুমকে বিয়ের পর সংসার ভালো চলছিল তাদের।এবং তাবাচ্ছুমের পরিবার সবদিকেই সহযোগিতা করতো আসিফ শাবাব। হঠাৎ করে প্রায় দেখা যেতো তাদের বাড়িতে ঝগড়া লেগে থাকত।আমাদের জানামতে রামিসা তাবাচ্ছুম একজন ভালো ময়ে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রামিসা তাবাচ্ছুম আলিনা বলেন , আমি একজন মুসলিম ঘরের সন্তান। মোঃ আসিফ শাবাব সঙ্গে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক আমাদের বিয়ে হয়েছে। সে বেকার হওয়ায় আমার বাবার ঢাকায় নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়,পাশাপাশি আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে তাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে থাকি।সেই বিশ্বাসে আমার মাকে ম্যানেজ করে অত্যন্ত সুকৌশলে সৈয়দপুর সুলতান নগরে জমি ক্রয় করার কথা বলে এক কোটি ১২ লাখ টাকা আমার মায়ের ব্যাংক একাউন্ট থেকে দেওয়া হয়। তার সমস্ত ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে। সৈয়দপুর ড্রিম প্লাস সংলগ্ন জমিটি আমার নামের রেজিস্ট্রি করার কথা বললে সৃষ্টি হয় ঝগড়ার। এনিয়ে হয়েছি আমার স্বামীর হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার। তারপরও আমার পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে সব নির্যাতন বুক বুঝে সহ্য করে গেছি।এরপরেও মোঃ আসিফ শাবাব ও তার পরিবার প্রতিনিয়ত টাকার চাপ ও মানুষিক যন্ত্রণায় আমাকে তিলে তিলে মেরে ফেলার মতো অবস্থা সৃষ্টি করে। এই বিষয় গুলো ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার নামে গুজব ছড়াচ্ছে,আমি তার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি মোঃ আসিফ শাবাব একজন টাকা লোভী ও স্ত্রী নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ আসিফ শাবাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বাসায় না থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
